Homepage 61st Issue Editorial পরিবিষয়ী কবিতা Contact Us Contact Us

Poems by Sayantan Goswami | Kaurab ONLINE 64/2024

 

 

সায়ন্তন গোস্বামীর কবিতা

 

 

## জানুয়ারিতে স্টোভের আঁচে লেখা কবিতাগুচ্ছ

(যা বই করলে একফর্মার চ্যাপবুক হতো)

 

# (১) যুদ্ধক্ষেত্র

আমি ভাবি যদি কবিতা অটোফিকশন হয় তাহলে কতদূর যেতে পারব

যে শহরে তুমি দুঃখ পেয়েছো সেই জায়গা আমার কাছে যুদ্ধক্ষেত্র

বনজঙ্গল পেরিয়ে এই মরশুমে মধুর ডিমান্ড দুম্ করে বেড়ে গেল

আমাদের মধ্যে যারা দু-চারজন ফিলোজফি পড়েছে

বাসরুটে কান্না সামলে

ঘরে, বাথরুমে কয়েকটা পাক দিয়ে অল্প সাঁতলে নিলো কবিতাসাহিত্যে

ভোররাতে স্বপ্ন দেখলাম বাবা শুকনো কুয়োর মধ্যে মৃত

অসংখ্য মৌমাছি সেই দেহ ঘিরে কুৎসিত প্যাটার্ন এঁকে যাচ্ছে

তবুও জানি আলো, জানি শাঁখের সাদায় ভোর

সব গোলাবারুদ সামলে যেমন শুরুতে বলেছিলাম তুমি, তোমার যত্ন।।

 

# (২) ব্যপ্তি

মিহি কবিতার কাছে, কয়েক লাইনের ছোট্ট কবিতার কাছে

আমার এইটুকু আবেদন - সে যেন তোমার ব্যপ্তি বোঝে

সুরিয়ালিটি হোক, সহজ ভঙ্গিমা হোক, হোক মিটারঘরের ইলেক্ট্রিক তার

গোটা-গোটা অক্ষরগুলো তোমার হাতের আঙুলে চুমু খেয়ে যেন বলে

এই হল আবিষ্কার, এই মেঘ, তরল, এই ছিন্নমস্তা চরাচর

দুটো শ্বাসের শেকলে যে গিট, তার গ্রামারে যেন খুব করে তোমাকে পাই।।

 

# (৩) ভাঙাচোরা ভাষা

একটা রাতজাগানো দুঃখের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি

উপহার ছড়াতে-ছড়াতে,

তবু শিরায় কোনও জট নেই

রৌদ্রনীল তার আভা,

দোমড়ানো কাগজের ঠোঙা খুলে দেখছি -

পুরনো হল দিন, মেঘে সরলো স্টেশনঘর

বাঘা বেড়ালের মতন পুরু

এরকম অলৌকিক আদরের সকাল

পরের সপ্তাহে পেয়ে যাব মনে হয়

আরও কিছুদিন বেঁচে থাকা কেউ আটকাতে পারবে না

ভাঙাচোরা ভাষা সম্বল করে আরও কয়েকটা লেখা

আমি লিখে যেতে পারব, ফুলের টোকায়

পকেটে ঢুকে যাবে শহর - এমন সব লেখা ।।

 

# (৪) পাবনা জেলা

সেইসব নিরীহ নাটকের মাঝে তোমার রাগ

ফের লিকাররঙা বিকেলে তোমার ফুঁপিয়ে কান্না

আর এদিকে আমি ম্যান্সপ্লেনিং থেকে অল্প দূরে

টবে ফুল চিনে বলি আদিবাড়ি পাবনার গল্প

শুনবে, হ্যাঁ কি না? নিজের মাথা ঝাঁকিয়ে বলেছিলে

"এট্টুখানি হ্যাঁ অনেকটা না কিন্তু সব দোষ তোমার"

আভেনের তাজা বিস্কিটের গন্ধে মজে শুরু করি

এত মিঠা সেই জিলা, সেই গেরাম, কেমনে কই?

সেথায় এক প্রেমিক দিনরাত শুধু ভেবে যেতো

এই তোমারই মতন এক রাগী মেয়ের কথা

আমায় থামিয়ে বলেছিলে বাকিটা পরে হবে

ছুঁয়ে-ছুঁয়ে থাকে এমন বৃষ্টি নেমেছিল তখন

তোমার হাত খেলনা মাইক্রোফোন, বলেছিলাম

হ্যালো ওয়ান টু থ্রি, এত্ত মিঠা তুমি, কেমনে কই।।

 

# (৫) ভর্ৎসনা

নিস্তরঙ্গ জলের কাছে আমি পেয়েছি লোয়ার বার্থের টিকিট

প্রিয় হাস্নুহানা গাছের থেকে দেড় ফার্লং দূরে

তার ফ্লুরোসেন্ট আলো বৃষ্টির আভাসে আকৃষ্ট করেছে

এবড়োখেবড়ো একটি সাধারণ চককাটা খোপে (গুরুঠাকুরবহির্ভূত)

ট্রেনযাত্রাকে কেন্দ্র করে এই আর্তিও কি বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা নয়?

পরিবারের বারণ অমান্য করে টিপকলের পাদপ্রান্তে

অন্তত সিকিভাগ ম্যাজিক তো বটেই

নতুবা কোন অভিসন্ধিতে কাঁপা হাতের লেখায় জ্বলজ্বল করে ভর্ৎসনা -

তুমি খাঁটি শুয়োরের বাচ্চা, দুটো ভালোবাসার কথা এতগুলো বছরেও

সোজাসাপ্টা বলতে শেখোনি।।

 

# (৬) দুটি বেড়ালছানা

যে মারা গেছে অন্ধকারে, সবার অলক্ষ্যে

যে মারা গেছে দুপুরে, যখন সবাই খেতে বসেছিল

সেই দুটি সদ্যজাত প্রাণী যেন নীল অথবা বেগুনি ফুল হয়ে

যুদ্ধের নিকটতম প্রান্তরে ফুটে ওঠে

চোখ ফোটার আগে তাদের উজ্জ্বলতা পাপড়ি হয়ে যেন মানুষকে ভাবায়

তাদের আয়ু শেলিং না থামালেও

অন্তত এটুকু যেন বোঝাতে পারে ফুল কী, সেই ফুলের রঙ কী

গরম বাতাসেও হাসিতে তার দুলে ওঠা কীরকম

আর আমিও যেন ঘুমের ঠিক আগে কান্না দুমড়ে বুঝতে পারি

জন্মমাত্রই তাদের নামকরণের ফাটলে

বারুদের গুঁড়োর মতন কোনো অভিশাপ সত্যিই ছিল না।।

 

# (৭) অর্ধেক ট্রেনের দিন

আজ এই অর্ধেক ট্রেনের দিনে যদি মারা যাই,

তাহলে আমার জন্যে কারা ছুটি ক্যান্সেল করবে ?

টেবিল ল্যাম্পের আলো অন...অফ...অন...অফ...

জ্বালবে, নেভাবে, জ্বালবে, নেভাবে, আর ভাববে

কী সব হাস্যকর স্বপ্ন ছিল ওর,

সমুদ্রের মানে বোঝার চেষ্টা করেছিল কোনোওদিন ?

লাইটহাউস হওয়া অত সহজ নাকি...

আর এইরকম এক প্রবৃত্তির মধ্যে আমি ডুবে যাব,

ঠান্ডা দেওয়ালের ঘর, বসবাসের কোনও চিহ্ন নেই,

শুরু করবো নির্জনতা পুনরাবিষ্কার করার প্রক্রিয়া

উপদ্রুত বুঝে নিতে হবে শুধুমাত্র কাগজের মাধ্যমে নয়,

শুধুমাত্র মানুষের সান্নিধ্যে বা অবহেলায় নয়,

বাস্তবিক যা কিছু জড় পদার্থ -

জানলা, দরজা, টেবিল, la chaise, কাচের গেলাস প্রভৃতি,

সেসবের মধ্যে আছে কস্মিক পদ্ধতি,

মাত্রা মেপে নিবিড়তার নোট।

পুরনো হেলে পড়া সস্তা পানশালার সঙ্গে

কোনও আত্মিক যোগ আগেও হয়নি,

ভবিষ্যতে হওয়ার তো প্রশ্নই নেই।

কিন্তু আজ, এই কয়েকটা ঘন্টা, নানারকম লুপে

বাধ্য করেছে কিছু বর্ডারলাইন হিপোক্রসির অংশবিশেষ হতে

আমি স্পষ্ট দেখতে পারছি ওই লোকটা,

তার ফুলহাতা জামার সবকটা বোতাম খুলে

একটু পরেই হাউহাউ করে কেঁদে উঠবে

প্রথম পরিচ্ছেদ, নির্জনতা

ডানদিকের কোণায় নিচু হয়ে বসে

বাচ্চা ছেলেটি পরিষ্কার করছে হলুদ বমি,

থমথমে মুখ, ওই হল দ্বিতীয়

তা এখানে আমরা কী দেখছি ?

না চাইতেও ভরাট হচ্ছে হাওয়াবাকল, তার অর্থহীন পকেটগুলো

এসব সমূহের ভেতরে নিজেকে খুঁজে পাওয়া, নির্দিষ্ট বিন্দুর মতন,

বিশেষ কিছু নয়, যদিও আমি বাকিদের মতন এটাকে মোনোটনাস একেবারেই বলব না,

বরং অরুন্ধতীকে কোট না করে বলবো

গ্রটেস্কলি ফানি, সেই একই জিনিস, জাঙ্কইয়ার্ড ব্যাপার-স্যাপার,

কিন্তু নতুন, ফানি,এ্যান্ড আই মিন ইট

এই যে ভাবনার কেন্দ্রে কয়েক ফার্লং এদিক-ওদিক,

এসব নিয়েই তো মৃত্যু হবে একদিন

অত ভাবার দরকার নেই, এখানে তুমি যে কাজটা করতে এসেছ,

সেটা করো - না, কিন্তু কেন ভাববো না, যদি মারা যাই,

যদি নির্জনতা, পেন্ডুলাম, মার্জার দূরত্ব যদি,

বিশাল একটা যদির সিরিজ, দীর্ঘ হবে, দীর্ঘতর হবে,

বিছানা হবে, ট্যাবলেটের ফয়েল হবে, আর নানাবিধ লোকাসের

আবর্জনায় ভেবে যাব ব্যাখ্যা, উদাহরণ,

দেওয়ালে কান পেতে জলের কথা,

শেকল মুঠো করে জাহাজের কথা, হলুদবর্ণ ডানার দাগে

ভাসমান বিকেলগুলো, একটা লঝঝড়ে সাইকেলে

পৃথিবীর আনন্দ আর শোক,

স্কার্ফ উড়ে মাটিতে নামেনি, এইসব ।।

 

# (৮) ভাত

অনেকদিন পর গতকাল সারারাত ঘুমোইনি

কী যে একটা লেখা পড়লাম ঠিক মনে নেই

তবে এটা মনে আছে তাতে লেখা ছিল এক মা উন্মাদ হয়ে

গ্যালোপিং ট্রেনে আড়াআড়ি কাটা পড়া

নিজের ছেলের মাথা কোলে রেখে ভাত খাওয়াচ্ছে

ছেলে তো খাচ্ছে না , কিছুতেই খাবে না

ভারি অভিমানি, বিস্ফারিত দু-চোখেও বিষাদ ,

'কেন আমাকে মনে করাওনি ওটা থ্রু ট্রেন,

কেন ওই সময়েই ফোন করলে,

কেন সেই বিশ্রী কলাই-এর ডালে মাখা ভাত,

আলুভাজা নেই কেন

আরে এত 'কেন'-র উত্তর দেওয়ার জন্যে সময় চাই তো

চারপাশে ঝোপ-ঝাড়, ঘেয়ো কুকুর , একটা বেল গাছ

টর্চ আর জোছনার আলোয় ভেসে যাচ্ছে মায়ের শরীর

পাঁজরে শান্টিং-এর শব্দ, মণিতে সিগন্যাল, বোবা হওয়ার

আগে পর্যন্ত বলে যাচ্ছে 'ভাত কটা খেয়ে নে বাবু

খেয়ে নে বাবু, খেয়ে নে'।।

 

# (৯) দেশ রাগ

আমি সেই মেয়েটিকে বলেছিলাম আসি, এবারের মতো

দেশ রাগ থেকে নতুন কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা আর রইল না

সুখে থাকো, ডাকঘরের চাকরি, আজকাল এটাই বা ক'জন পায়

ওদিকে যে সময় চলে যাচ্ছে, কবেকার একটা লোক দুম্‌ করে

উড়ে যাবে, তাকে তো, আরও কয়েকটা দিন, কন্টেন করা দরকার

সবিস্তারে এসবই এককমাত্রা, সভা-সমিতি (চাপা হাসি)

নতুনতর আত্মসমীক্ষা বলা যেতে পারে ডকইয়ার্ডের বাজারে

কী আছে এখন কেন্দ্রে, একটা মেকি নেবুলা বিভাজন শুধু

পুরনো জামায় কষ্ট তো আর একই কায়দায় লুকোনো যায় না

মানুষ আছে, মানুষ থাকবে না, আবহাওয়া থাকবে কর্কশ শিসে

হয়ত সংস্কৃতিও থাকবে কিছু, ইতি-উতি ক্রোড়পত্র প্রবঞ্চনায়

এক-একটা লবণদাগে আরও কর্মঠ হওয়ার প্রেরণা ও ফোকাস

ডেক, মাস্তুল, লোডিং-আনলোডিং প্রভৃতি বিশেষ্য, কম্পাস প্রক্রিয়ায়

তবুও সংক্ষেপে ভেসে ওঠে মেয়েটির ক্লেদময় মুখ জলের আকারে

যেখানে যত দড়িদাড়া মেঘে, বাটারফ্লাই নটে, আকাশ ফুলকুঁঁড়ি

তা বুঝি পরিচিত কোনো বৃহৎ অনুনয়, সুরেলা, কিছু-বা জটিল

স্রোতের মতন বয়ে যায় দুটো চোখ, আজও, সন্ত্রাসে বিবিধ ।।

 

# (১০) সার্ভে

চাঁদ যেন নেমে এসে কুপিয়ে যাবে এমন জোছনার কথা তো আপনি আগে বলেননি, পুঞ্জে প্রহার, টিলাগড় শেষ হয়ে এল, প্রবন্ধ কতদূর, কিছু শেয়ার করতে পারেন, আপাতত ব্লক চলছে, আমাদের গুলমাস্টার পিছিয়ে পড়েছে দেখি, ও তপন, আরে এই তপ্না, তপু, কী তোমার ব্যাপারটা কী, সাংকেতিক দুর্যোগে প্রবাহে বিচলিত, এ কি তোমার ঊননব্বইয়ের দোসরা বৈশাখ, একে-একে তরঙ্গসঙ্কুল, দুর্নিবার, আইরিশ গোরস্থানে মেয়েদের গল্পগুলো, ঘনচ্ছায়া, চেতনায় রাতুল, নেহাত বড়ঠাকুরের কৃপা ছিল, জরিপের পিকনিকে, ভালো কী মন্দ, ঘটিবাটির হিসেব রাখাটা ক্রুশিয়াল, শুনুন সরকার বলে একটা জিনিস তখনও ছিল এখনো আছে, তামাকের ব্যবস্থাও থেকে যাবে, শৈব আচারাদি কাটিয়ে ধরুন বললাম, সবকিছুই তর্কসাপেক্ষ, তা আমাদের কথা উঁচু মহলে আর পৌঁছলো কবে, কিন্নরী প্রভা, মৃগমদ, এই সব আর্বিট কোডশব্দেই ছক্কাপাঞ্জা পাশাখেলা, এখন ভাবুন ঘাটের মড়া কারা, অতই সস্তা নাকি, শ্বশুরের প্রোজেক্ট, হাসালেন, নিত্যলীলা ভূমি শ্রীধাম শ্রীঅঙ্গন, ঝকমকি বায়না আছে, প্রবৃত্তি হয়নি যে, প্লাস নট দ্যাট ইজি, লাইটারের কসরতে ভালোবাসি বলার মতন নয়, ওটা কী গেল, বুনো শুয়োর?

 

# (১১) সাদা বাঘ

সাদা বাঘ নেমে এসেছে গদ্যের সম্ভাবনায়,

গ্রীষ্মাবকাশ ভারী হয়ে উঠল;

তুমি কি আমার কথা বুঝতে পারছো ?

ধরো একটা বিল্ডিঙে আটকে আছো এক দশক কী তারও বেশি খাবার-দাবার সব আছে, এমন কী হাঁসের মাংস

ইন্টারমিটেন্ট সন্ধিপ্রস্তাবে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ হয়

একটা ওলিভের আংশিক আলোয় উড়ে বেড়ায় তোমার ওড়না

যুবকের মুখে তার অধিকার নেই

নির্দিষ্ট একটা রাস্তাই তুমি পেতে চাও,

তোমার আছে অজস্র রাস্তা,

তবু মনে হয় যেন থাবার গতিবেগে

আনাজে ভরা ট্রাক উলটে পড়বে তোমার ওপর,

উপসংহার - তোমার আপাত নির্জীবতাই তোমার আয়ু

কোনও ম্যাজিক নেই, শংকরজাত ধ্বনি নেই কোনও,

প্লাস্টিকের সস্তা জারে কোনও ক্রিসেন্থেমাম নেই

ভাদ্র পার হল, আশ্বিন পার হল, তুমি পেলে উপহার

রৌপ্যজ্জ্বল প্যাকেটে প্রেরকের নামের স্টিকারটা উঠে গেছে

সামগ্রিক পঠনে এটাই ব্যক্তিগত লেখালেখির স্ক্রুটিনি,

পিতামহ টর্চের আলোয় জঙ্গলের পাল্‌স, ডোরাকাটা ।।

 

# (১২) গাঢ় নীল শাড়ি

আজ পুলিশ নেমেছে বড় রাস্তার পশ্চিম দিকে

চায়ের জল, আমার কেটলিতে, কী অদ্ভুত শান্ত

আরেকটু পরে টবের গাছগুলোয় জল দেব

মৃন্ময় ছুটিতে গেছে তা কম-বেশি এগারো দিন

সবাই কাউকে ভালোবাসতে চাইছে শিশুর মতো

মেশিনগানের মাসগুলো ফিরে এলো বোধহয়

কার গাঢ় নীল শাড়িতে ঢেকে গেছে গোটা আকাশ

গদ্যের সম্ভাবনায় কবিতাগুলো টানা বারান্দা

এখন এই বাড়িতে কেউ খুব একটা আসে না

হাতঘড়ি সংকেত দেয় বিহারে প্রবল ঝড়

মিরিকে ঘোরার গল্প কতদিন ভালো লাগে আর

সরকারি বিজ্ঞপ্তি শেষ কবে পড়েছিলাম ভাই

আয়নায় ফুটে ওঠে দৃশ্যত যা ক্ষীণ মেঘরাশি

কোনও অনুশোচনা নেই, মাঘ প্রায় শেষ হল।।

 

# (১৩) গুলমোহর

তুমি চাও আলতো একটা মেলামেশা শুরু হোক

আঁকাবাঁকা পথে আদর দিক প্রিয় গুলমোহর

উত্তর চব্বিশ পরগনায় এসব কি সম্ভব?

উঁচু টাওয়ারের দিনগুলো আমি ছেড়ে এসেছি

ট্যাবলেটের ক্লান্তিকর অঙ্ক আমি ছেড়ে এসেছি

টেকনোলজি নিয়ে লেখালেখি করছি মোটামুটি

পায়ের পেশীতে আর টান লাগে না ঘুমের মধ্যে

স্বপ্নে দেখি ফরাসি কেল্লার দেওয়ালে ঘেঁষে আছি

দু'তিনজন বন্ধু জুটেছে যারা কাছেপিঠে থাকে

তবুও হুট করে একা বেরিয়ে পড়ি বিটি রোডে

তোমার মুখ ভেসে ওঠে প্রশান্ত ঘন মফস্বলে

রাত্রিবেলা আজও আমায় আকৃষ্ট করে খুব

সিগেরেট...আমি কেনই বা কমাবো দেখা না করে

উন্নত তোমার রান্নাবান্না, ওই মুক্তগদ্য হাসি।।