Homepage 61st Issue Editorial পরিবিষয়ী কবিতা Contact Us Contact Us

Poems by James Saha | Kaurab ONLINE 64/2024

 

 

জেম সাহার কবিতা

 

 

নর্থ রোডের একটি বিকেল আজ স্বপ্ন থেকে স্বপ্নহীনতায়

কুশল জানার চেষ্টায় উন্মুখ বসে রয়েছে তো রয়েইছে

সাধারণ কথাবার্তায় আলিঙ্গন ভেঙে ভেঙে নামছে অর্ধেক চাঁদ থেকে

সিঁড়ির সংকোচন ও প্রসারণ লক্ষ্য করে রুমাল চাপা ব্রহ্মের নাক

এই অবস্থানও নির্জীবের অবস্থান, আসলে উনি কখনোই ট্রেটার নন

আমাদের যেসমস্ত প্রিন্স ও প্রিন্সেস ছিলো দীর্ঘকায়

তারাই আবার ভেলভেট কাপড়ে আকাশে রয়েছে

আসুন ব্রহ্মের কাছ থেকে একটা কিছুর বিনিময়ে তাঁদের আমরা পুরনো দাগ বরাবর ভাঁজ করে রাখি

সানগ্লাস পড়ে প্রস্তুত করুন নিজেকে, আর ব্রহ্ম চিন্তা করবেন না আপনাকে ভাবানোর দায়িত্ব এবারও আমার

 

আই মিন বেটার লেট দ্যান নেভার ব্রহ্ম আপনাকে আজ সলজ্জ হতে দেখে থুথু ছিটিয়ে দিচ্ছে ধর্মযাজকের দল

সাহেবের কথার রেশ টেনে সাজানো বক্তৃতামালা বিদগ্ধ ব্যক্তিসকলের দৃষ্টির অগোচরে থেকেছে, শ্যাওলা ও শৈবালের শেকলে চেপে আমরা বন্ধুরা আপনাকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করলাম এবং এভাবেই আমার প্রপিতার শব ছুঁয়ে বসে রইলাম শ্মশানময় যদিও এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর সমস্ত বৈতরণী হাঁটা দূরত্বে তৈরি হয়ে এসেছে তবুও দেখো আপনাকে এই টেনে হিচড়ে নিয়ে আসার পাশবিক পরিশ্রমের সোজাসুজি কেমন দাঁড় করলাম ফর গিভ আস নৈতিক অনুশোচনার এই পচনশীল ক্ষত আপনার কৃপায় ঠিক স্পিরিচুয়ালিটি প্রাপ্ত হবে যৌবন আজ ধুলোর মত বিদ্যা ছড়িয়ে দিতে চাইছে

ভ্রান্তির এই কপাল জুড়ে আপনার জন্য পরিসর আমরা বানিয়ে রেখে গেলাম, ব্রহ্ম আপনি চাইলে ওখানে একটি সংগ্রহশালা বানান, আমরা আমাদের নিত্য যাত্রীদের হিংসে করলেও জানিয়ে দেব কোথায় সেই টিকিটকাউন্টার

 

প্রশ্রয় এবং অবারিত প্রশ্রয় আমাদের আবর্তে ফেলে দিয়ে গেছে

আমরা হঠাৎ ভাবছি মাটির কলসির কাছে পড়ে রয়েছে অসংখ্য ঝিনুক

নিজেকে রাখছি নিরাপদ অবস্থানে, ক্যামেরা কাঁধে রেখে আমরা দেখছি ছবির কঙ্কাল

ব্রহ্মকে মনোযোগে আর নিয়ে আসছি না, এতে কিছু সংকোচ দূর হোক এই চাই

প্রভাব প্রতিপত্তিহীন একটি ছাতা আজ হারিয়ে ফেলে এসেছে, আজ বৃষ্টি হেঁটে যাচ্ছে বুদবুদে

পিক্সেল সংখ্যা আর কোনো সংখ্যা নয়, সমস্ত কিছুই স্পষ্ট ও সমস্ত কিছুই আজ আলো

গরম তেলে ফেলে আসা সবুজ সবজি অন্য ঘর থেকে বৃষ্টির শব্দ শোনালো

পকেট গীতার মত ছায়ার সঙ্গী হয়েও ব্রহ্ম বোধহয় আজ একটু বেশি বিরক্ত হলো

যদিও প্রকাশিত নয় তবুও আমরা বুঝি জল, অতি স্বল্প মাত্রায় হলেও রয়েছে

তাই তো গতি আজ শ্লথ হয়েছে, কাঁপা বুকেও ব্রহ্ম শেষমেশ আমাদেরই কাছে এলো।

 

আগুনের অত্যাধিক ব্যবহার ভালো নয়, ব্রহ্ম এই নির্বন্ধে শাসিয়ে রেখেছেন গোটা জগৎ

আমরা বেপরোয়া রিক্সা চালকের অভিপ্রায়ে উদ্দেশ্য পর্যন্ত গিয়েও তাই ফিরে এলাম

জামাকে জামা বলে চিনলাম হাতের সরু রেখাকে চিনলাম হাড়ে ও মজ্জায় এবং আমরা ফিরে এলাম

নির্দেশ যে পালঙ্কে শয় এ ঘর ততটা বন্ধুদের জায়গা করে দিতে পারেনি তবুও তো ঘরেই রইলাম

ফিরিঙ্গীরা ব্রহ্মকে অবস্থান হিসেবে চিনলো আমরা চিন্তা করলাম মদ তাই ঘরেই ছিলাম

কিছু সময় মধ্যবিত্ত দের পিছু নিলাম, বেশির ভাগই খরচ করে দিলাম একত্রে থেকে থেকে

মাসের শুরুতে রক্তকে দেখে এলাম আরো বেশি উজ্জ্বল আরো বেশি কথা বলছে অথচ কেমন যেন আশেপাশের সব কিছুই সংযত সব কিছুই বিষণ্ণ

মাসের মধ্য ভাগে ব্রহ্মকে জানলাম, সম্পর্কের শেষ দিকে এসে ফের নির্লিপ্ত ঢোক গিলে নিলাম, আর, আঃ, ব্রহ্ম আপনাকে কত কম চিনলাম

 

৫.

শেষ করতে করতে বললাম কে যে কোথায় কখন কীভাবে ফেঁসে যায় তার কোনো গ্যারান্টি নেই

শুনে ব্রহ্ম হাসলেন, আমাদের চোখে সেই হাসি নির্ভেজাল শ্লাঘা মেশানো, ওনার কাছে অর্থহীন

আমার ওই উক্তিতে সকলেই কিছুটা সম্মতি জানালো

প্রত্যেকেরই মুখের একপাশে আলো পড়ছে হেডলাইটের

তারপর টিকালো নাক পর্যন্ত এসে আলোর স্তম্ভ কোথাওই ধাক্কা না খেতে পেয়ে গোপন গর্তের ভেতর সিঁটিয়ে যাচ্ছে

ব্রহ্মই যেন গভীর সেই অবতল থেকে স্পষ্ট উচ্চারণে এমন কিছু বললেন যার মানে আমরা করলাম অজ্ঞতার পরিচয় 

ব্রহ্ম - এর কাছ থেকে আসলে এমন কিছুই আমরা আশা করি, কেননা একদিন না একদিন সে প্রমাণ করে দেবে সমস্ত সিদ্ধান্তের পেছনেই নিশ্চয়তার জ্যামিতি রয়েছে, ওনার কাঁধের থেকে এখন ঝুলছে পিথাগোরাসের শীর্ণ কাঁধ, হাতের নখ গ্যালিলিওর টেলিস্কোপের কাঁচের মত স্বচ্ছ ঈষৎ ধর্মভীরু, আর চোখ দুটোয় কেপলারের দেখা গ্রহ নক্ষত্ররা ছায়া ফেলে ফেলে যাচ্ছে, অন্ধকারে সমুদ্রের ঢেউ যেমন। আর যখনই আমাদের মনে পড়লো, আরে কোথায় কি, ব্রহ্ম তো নির্বিকার তখনই আমরা ওনার গ্লাসে শেষ মদ টুকু ঢেলে দিলাম।