Poems by Nilanjan Daripa | Kaurab ONLINE 63/2024

 

কবিতা

নীলাঞ্জন দরিপা

 

রূঢ় অসময়ের কথকতা

 

মায়া শব্দ জাদুকরী, ক্রোমিয়াম, সামান্য বাতাস

পেলে গায়ে আস্তরণ ফেলে দেয়, অনাদি ইস্পাত

হয়ে ওঠে নিষ্কলঙ্ক, দপ-দপে অযৌন প্রণয়

শিখা নাড়ে গার্হস্থ্যজীবনে, রসায়ন এই পথে

আত্তীভূত হল শেষে, কেন যে সকলই অনুরাগ

কেন যে সকলই ক্রমে প্রণয়ের ছায়ার ভেতরে

ঠাঁই নেয়, বাহ্যিক আচারে সে তো অপর্যাপ্ত ক্লিশে

তবু যে জীবন সে তো মহাজীবনের অংশ, সে তো

ছিনিমিনি জীবনের আগাগোড়া, সাদা কাগজের

তলপেটে গল-গল কালির কামনা, হে কলুষ

ছেয়ে যাও, মধ্য রাতে খুঁটে খুঁটে কালপুরুষের

ছাঁচ তুলি, যে সাদা মুখচোরা তার রূপ আনো জ্বেলে

নচেত সমস্ত সাদা-হলুদ যা কিছু সব খেয়ে

একা একা অন্ধকার, হে কলুষ, চোখের পাতার

পেছনে মাংসল ধাঁধা, ছুঁয়েও দেখল না আলো যাকে

গাঢ় ঘরে সারারাত হাতের মুদ্রায় কত প্রাণি

দেয়ালে ফেলেছি, তবু অন্ধকারে ফোটে না যে ছায়া

চোখে যে কী খেলা করে, মাছেদের জলীয় জিজ্ঞাসা

ইশারা কি হয় ছাই জল-চোখে, ঢেকে তো শানাবে

আমি কাত হব, আমি নষ্ট হব আরও চুপিসাড়ে

অর্ধেক শরীর রাখব সাপের ভেতরে, বাকি আধা

মৃত্যুর আবেশে কিছু শিথিলতা উদযাপনে নীল

গূঢ় নীল বার্তা ধীরে ত্বকের হলুদ গ্রামে গ্রামে

রোমকূপে সূচ দেবে, হাওয়া দেবে বৈশাখ বাঁধানো

দেয়াল আমার, প্রিয় অন্ধকারে হলুদ খেয়েছে

গায়ে আঁশ ছাই মাখা, ধারালো বঁটির গন্ধ আসে

গাঢ় ঘরে সারারাত, রক্ত জাল দিয়ে দিয়ে ঘন

হয়েছি মারণরসে, যৌথজীবনের হাসি চির-

-ম্লান হয়ে নিভে যায় প্রকৃতির অরূপ কৌতুক

চোখে এলে, এভাবে, এ রূঢ় অসময়ে কথকতা

কুলিয়ে উঠি না, তর্কাতীত হার মেনে নেওয়া ছাড়া

শুধু এই হাতের মুদ্রায় কিছু থেকে যেতে বলা

তমসায় চোখে পড়ে? গাঢ় ঘরে তীব্র এই নাচ

বাদামী জটার থেকে নাভিপোড়া ঘ্রাণে আয়ু গোনে

আমার বাহন, কৃষ্ণ-ভূ-জ্যামিতি জুড়ে ছটফটানো

সোনা কুনো পলকা ডট মাছের ফিগার, কৌতূহল,

কাত হব আমি, নষ্ট হব আমি দোহারা উরুতে

অর্ধেক শরীর রাখব জটিল কথায়, বাকি তুমি

সহজ কথায় এসো, যেভাবে মেঘের থেকে জল

সমুদ্রের বুকে পড়ে, সৌন্দর্যে বিস্মিত বালুতট কিন্তু জানে

এ জীবনে সবই যে হারায়, সুবীর সেনের রাত্রি

তবু যে জীবন সে তো ডেলিপ্যাসেঞ্জারি-ব্রিজ-শাড়ি

সে তো চাকরি ছেড়ে এসে অশান্ত সংসার বাড়িছাড়া

এ মহাজীবন এই ছিনিমিনি জীবন কুডাক

অভ্রান্ত কুডাকে সাড়া দিয়ে এই অন্ধকার কূপে

বসে আছি নয় মাস, শীতল পেচ্ছাপে ভেজা মেঝে

জাঙের চামড়া পচে উৎরে গেছে প্রাথমিক ভয়

সমুখে মৃত্যুর দিন, পেছনে তাকালে এ সময়

ঠাণ্ডা লাগে, ভিনগ্রহের বেগুনী পোকা হাঁটে হাঁটুর ওপর

সন্ধিপদে যৌনাঙ্গ পেরিয়ে সে উঠে এসেছে শিরে

নিয়েছ শরীরগ্রহ, মাথার নক্ষত্র ছেড়ে দাও

একটু ভাবতে চাই আমি অতীত দিনের হাসি খেলা

বয়স বাড়ার পথে অন্ধকার থেকে কী উপায়ে

আলোতে সরেছে ভয়, গা ঘিনঘিন হৃদয় ছুঁলেই

তবুও হৃদয় যত, গান গায়, অসম্পূর্ণ গান

কে যেন কানের কাছে মুখ এনে শোনাবে বাকিটা

সে আশায় মরেছে মানুষ, হায় মানুষের লোভ,

স্বার্থ, নিরাপত্তা কিম্বা সামাজিক প্রকল্পের খাতে

সমস্ত প্রণয় হল অপচয়, উদ্ভ্রান্ত হৃদয়ে

অরণ্যে পালিত হচ্ছে আমাদেরই যমজ লিঙ্গেরা

সামাজিকতায় যারা নিপীড়িত হল না অন্তরে

পৃথিবীর পেটের ভেতরে সেই বাধাহীন স্রোতে

এবার তলিয়ে যাব, দ্রুত নয়, আকস্মিক নয়

আকাশ লণ্ঠনে দেখি সূর্যের ফিতেটি কত ধীরে

ওঠে নামে, তবুও এ দীপ্তি আজও ক্ষয়হীন ঋজু

যে হিউমারে হো হো করে হাসির উদ্রেক হয় তাকে

সমূলে পরাস্ত করে সেই রস, যে সাড়া জাগায়

ঠোঁটের কোণায়, মৃদু, তবু তার ক্রমনির্গমনে

বহুদূর ভেসে যায় কৌতুক-রসনা। মনে হয়

ক্ষতির প্রকৃতি, আকস্মিকতায় বিহ্বল করেনি

তবুও গভীরে থেকে খেয়ে গেছে মজ্জার কুসুম

মৃত্যুর গুরুত্বহ্রাসে সত্যকে সহজ মনে হয়

তুচ্ছের ভেতরে কিছু চিরস্থায়ী কথা মনে পড়ে

কৈশোরের শারদীয়া পত্রিকার তৃতীয় পাতায়

গয়নার বিজ্ঞাপনে একটি মেয়ের ছবি দেখে

ঈষৎ আচ্ছন্ন হয়ে থেকেছি কয়েক মাস, তাকে

তাছাড়া কোথাও আর কখনও দেখিনি বলে আজ

হঠাত পড়েছে মনে, সে এক সময় ছিল গাঢ়

নিজেকে চেনার কাল, পৃথিবী বিস্ময় মনে হত

নিজেকে হবে না চেনা এই ঘুপচি ম্যাজিকশালায়

এভাবে টুপির মধ্যে ঢুকে আছি নয় মাস টানা

জীবনের লোকঠকানো মন্ত্র কিছু কানে আসে মৃদু

পৃথিবী উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষায়, কী হয় কী হয়

পৃথিবীরই মায়াবী সে, অপেক্ষা ভেঙেছে শুনি আজ

ওষ্ঠবর্গ উচ্চারণে তাকে যে কী সুন্দর দেখায়

তা যদি বোঝাতে আমি পারতাম কখনো শব্দ লিখে

শব্দই আমাকে নিয়ে খেলা করছে লুকিয়ে চুরিয়ে

যখন প্রকাশ্যে আসব, তখন ঐ অনন্ত রিবনে

সাতরঙে ধাপ্পা দেবে নিরলস ক্লেদাক্ত মাকড়

কেন যে সকলই ক্রমে প্রতারণা ধাঁধাঁর ভেতর

ঠাঁই নেয়, প্রত্যাশা ব্যতীত সে তো ভোঁতা তরবারি

তবু যে জীবন সে তো মহাজীবনের অংশ, সে তো

ছিনিমিনি জীবনের আগাগোড়া, কালের বিন্যাস

আজ মনে পড়ে এই অন্ধকারে আলোর শলাকা

কীভাবে ঢুকিয়েছিলে হে জীবন, কীভাবে পুরনো

বয়সে রোদ্দুর পড়ে, ভেজা কাপড়ের মতো আমাকে টাঙিয়ে

চলে গেল ছেলেবেলা আশ্চর্য বিশ্বাস দিয়ে প্রাণে,

সয়ে যাবে। দীর্ঘ চোখে স্বল্প পরিসরে দেখি ম্যাজিক পৃথিবী

মৈথুনের পরে দৃঢ় বিচ্ছেদ চেতনা এলে, সে কিন্তু মোটেই

নির্বাণের ধারা নয়, বরং ক্ষণিক তৃপ্তিলাভে কিছু থিতু

'রে ফের আগামীর লোভে নিমজ্জিত করে, কিন্তু কখনোই

সে কথা বুঝতে দেয় না, মানুষের আত্মতুষ্টি খানিক বাড়িয়ে

নিজেকে নির্মোহ ভাবতে লাই দেয়, তারপরে প্রকাণ্ড আছাড়

তবুও ভাঙে না ডিম, আশ্চর্য ক্ষমতা ওই রহস্যাকৃতির

একটি মস্ত নীল ডিম ভেতরে দেবীর বাচ্চা নিয়ে সূর্য তোলে

পূর্বাকাশে, গর্ভস্থ প্লাজমার সে কী থৈ থৈ, অথচ এদিকে

বয়সে রোদ্দুর পড়ে, ভেজা কাপড়ের মতো আমাকে টাঙিয়ে

চলে গেছে ছেলেবেলা আশ্চর্য বিশ্বাস দিয়ে প্রাণে,

সয়ে যাবে। রোদ্দুর সইতে না সইতে ছুটে আসে ছাই রঙা ষাঁড়

মেঘে মেঘে বেলা কেটে গেল ছুটে প্রান্ত জনপদে

তারুণ্যে গর্জন এল, রঙে পাক ধরল কোনো ধ্রূপদী খারিজে

ততদিনে রৌদ্র কিছু প্রিয়, কিছু বর্ষাও আপন

ততদিনে ব্রহ্মতালু থেকে ঘনসন্নিবিষ্ট কালো গেল ঘুচে

তবুও পেল না ন্যূনতম দুঃখ, অনুতাপ, যত্নআত্তি, মায়া

নষ্ট কেশ, শরীরে জানান দেয় তরুণ রাত্রের বেয়াদপি

মন মুগ্ধ বসে আছে সে রাত্তির থেকে ধ্রুব, একা

মুগ্ধতার রেশে কিছু নতি আসে, তা নির্ণয় করার কামনা

অবকলনের কাছে নিয়ে এল কবে আজ মনে নেই আর

অদ্ভুত বিস্ময়ে দেখি কোটি কোটি অন্তরকলনের পরেও

শূন্য হয়ে উঠিনি এখনও, এ আত্মসম্মান নাকি আত্মশ্লাঘা

সে সংশয় কাটাতে ভীষণ আড়াল চলেছি খুঁজে, অকস্মাৎ

যে পথে আড়াল নেই সে রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি, সঙ্গে এক

নীল ডিম, আদিম দেবতা পেড়ে চলে গেছে হালের দেবীর

গ্রীবাভঙ্গিমার টানে, জেনেটিক যৌনকাতরতা নড়ে ওঠে,

ডিমের খোলস চিড় খায়, কোলে নিয়ে আড়ালবিহীন পথে

খুঁজে নিতে চেষ্টা করি সামাজিক সিসিটিভিগুলি কোন গাছে

মিলিটারি ছদ্মবেশে ঝুলে আছে, সৌজন্য বিহীন সত্যভাষে

ভয় করে, অকৃত্রিম ভয়ে আজ মনে হয় কেন মুগ্ধ একা

কেন এত দূরে চলে এলাম অযথা, মূল স্রোত বিষবৎ

কেন মনে হয়, মানুষের লোকাচারে এত অশ্লীলতা কেন

ধরা পড়ে দীর্ঘ চোখে, স্বল্প পরিসরে কেন পারিনি আটকাতে

দৃষ্টি, মায়ের সন্তানস্নেহে প্রত্যাশার কীট কেন সঙ্গোপনে

এড়াতে পারিনি, কেন মুগ্ধ বসে সে রাত্তির থেকে ধ্রুব, একা

জীবনে মানুষ ছিল, অত্যাচারে অনাদরে সরিয়ে সরিয়ে

এখন উজ্জ্বল দৈন্য, এখন নিভৃতে গুপ্তঘাতকগোষ্ঠীর

অধীনে দিয়েছি ধড় ও গর্দান, বিন্দু বিন্দু অপেক্ষা আঁচাই

জীবন আঙুলে ভর দিয়ে শুধু উঁকি মারছে মৃত্যুর উঠোনে

ছায়া ঢেকে গেছে ওই পাঁচিলেরই ছায়ার ভেতরে

যে পাঁচিলে পড়েছে রোদ্দুর ষড়ঋতু, তার বাহারি কার্ণিশে

ঝুলে আছি হাজার শতক, একা, একটি প্যাঁচা মাঝেমধ্যে উড়ে

এসে বসে কাঁধে, কানে দু-একটা টিটকিরি ছুঁড়ে ফের উড়ে যায়

রাত্তিরের নিস্তব্ধতা খেয়ে খেয়ে শানিয়েছে অমন বিদ্রূপ

কেন ছলে চাতুরীর কাটাতে পারিনি এই বিধিবদ্ধ বাঁক

যেমন নির্দিষ্ট ছিল লোকায়তে, জীবনের কাছে কোমলতা

প্রত্যাশা করি না আর, হরবোলার স্বরযন্ত্রে অন্যের আওয়াজ

অনেক ক্ষেপণে ক্লান্ত, বাধ্যত এসেছি এই বোবার দৃষ্টিতে

সে দৃষ্টিতে ডিম ফাটে, নড়ে ওঠে অন্য এক প্যাঁচা, গোল চোখে

রাত্তিরের মদ ঢালে আমার দু'চোখে, গেলে দেয়, ভুল, ভুল

হল সর্বাংশে, পৃথিবীর ছবি, হল না এখনও শেষ দেখা

আদিম দেবতা তুমি এ কী দিলে ঔরসের ফল যার শাঁসে

আবক্ষ উন্মাদ মূর্তি আর দুই অথর্বের পায়ের ভেতরে

দ্বন্দ্বের বল্লম এনে ফুঁড়ে দিল কটিদেশে জাদুর রাক্ষস

তার দাঁত থেকে ঝরে নতুন রক্তের ধারা, লোনা

কেন যে সকলই ক্রমে ভয়ঙ্কর মৃত্যুর ভেতরে

ঠাঁই নেয়, অজ্ঞানে অচিনে সে তো পুরাতন মিথ

তবু যে জীবন সে তো মহাজীবনের অংশ, সে তো

ছিনিমিনি জীবনের আগাগোড়া, ভ্রষ্ট মাছদল

 

 

কবিতা ভাবনাঃ কি লিখি, কেন লিখি

 

প্রথম থেকেই, সমাজ সংস্কারের চেয়ে ব্যক্তিগত অনুভূতির কাঁটাছেঁড়ার দিকেই আমার কবিতার মূল ঝোঁক ছিল। সেই পথে হাঁটতে হাঁটতেই এখন মনে হয়, জীবনের দিকে সেভাবে চোখ রাখতে পারলে সমস্ত ঘটনাই অসামান্য। বহির্বিশ্বে বা অন্তর্বিশ্বে ক্রমবহমান ঘটনাবলীর ধারাভাষ্য দেওয়ার ক্ষমতা থাকা প্রয়োজন একজন কবির। ক্যাথারসিস থেকে আমার কবিতা লেখার সূত্রপাত হলেও এখন বুঝতে পারি, সরে এসেছি কিছুটা এতদিনে। নির্মোহ হয়ে দূর থেকে নিজেকে দেখার চেষ্টা করলে কিছু অপার্থিব ত্রুটি ধরা পড়ে। বেঁচে থাকায় যে অন্তর ও বাহিরের অসামঞ্জস্য, তাকে প্রশমিত করার জন্যই এখন মূলত কবিতা লিখি। সাম্প্রতিক কবিতায় আমি দীর্ঘকথনে যাবার বাসনা টের পেয়েছি। টুকরো টুকরো কবিতা লিখে রাখলেও পরে পড়লে টের পেতাম এই বিরতিগুলো নেহাতই অকারণ। আসলে একটাই কথা টানা বলে চলেছি। এখন সেই অবিচ্ছিন্ন ধারাতেই কবিতা লিখতে চেষ্টা করছি। কার্যকারণের প্রতিষ্ঠা না থাকলে আগে বেশ অসুবিধে হত কবিতা পড়তে বা লিখতেও। ইদানীং দৃশ্য থেকে দৃশ্যের জাম্প এবং সেই জাম্পে পাঠের ও চিন্তার খেলা করার বিস্তৃতি সম্পর্কে কিছু ধারণা পেয়েছি বলে মনে হয়। তার প্রভাব আমার নিজের লেখাতেও স্বাভাবিকভাবেই পড়েছে। সামগ্রিকভাবে এটুকুই আমার সাম্প্রতিক কবিতা যাত্রার অভিজ্ঞতা।

 

 

 

কবি পরিচিতি

নীলাঞ্জন দরিপা, জন্ম ৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ১৯৯২। বেড়ে ওঠা পুরুলিয়ায়। পুরুলিয়া জিলা স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিকের (২০০৯) পরে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনীয়ারিং নিয়ে দুর্গাপুরে এন.আই.টি., কাজেই কলেজ জীবন (২০০৯-২০১৩) কেটেছে দুর্গাপুরে। দ্বাদশ শ্রেণি থেকে কবিতার প্রতি আকর্ষণের সূত্রপাত। কলেজের হস্টেল জীবনে ছন্দ নিয়ে পড়াশোনা শুরু। দীর্ঘদিন আটকে থাকা ছন্দের কারিকুরির মধ্যেই। ২০১৬-১৭ থেকে ক্রমে সেই মোহ ভেঙে বেরিয়ে ছন্দকে শুধুমাত্র টুল হিসেবে দেখতে শেখা। প্রিয় কবি বিনয় মজুমদার। বর্তমানে চাকরিসূত্রে কোলকাতার বাসিন্দা আপাতত। চাকরি কোলকাতার বিদ্যুৎ পরিষেবায়, সিইএসসি-তে। সাম্প্রতিক বই- ব্যক্তিগত জাদুকরের কাছে (তৃতীয় পরিসর, ২০২২) এবং পুরনো হাঁটার মুদ্রা (মাস্তুল, ২০২৩)।