কৌরব অনলাইন ৬০,
৩১শে জুলাই, ২০২২
পরিচিতিচিত্র
পরিচিতিচিত্র
হিসেবে এ সংখ্যায়
একটা ছবি চেয়েছিলাম। প্রায়
সব কবির সব ছবিই
এলো প্রকৃতির আন্তরঙ্গিকতায়। শহরের, না-শহরের। পাতা
এলো। লাগানো, ছড়ানো, ছাড়ানো। ফুল, ছাল, ছায়া,
ডাল। কোথাও
জলের কাছে, কোথাও পাহাড়ের
ওপরে। সেফটিপিন
করা। অথচ
জলে তো আরো ছিল। জলে
জলের বিদ্যা ছিলো। থিক
থিক করা লাপলাস
ট্র্যান্সফর্ম। যারা
ভাসছে, আসছে। ফিরে
যাচ্ছে, ফিরে
ভাসছে। যেমন
ফিরলেন হুলিয়া
আলভারেস ///
তার সেই
মেয়েদের কথা মনে
পড়লো। যাদের
পায়ের পাতা উল্টে
জন্ম। গোড়ালিটা
সামনে,আঙুলগুলো
পিঠের দিকে। সবাই
তারা সাগর থেকে
আবাসনে ফিরে সে
সন্ধ্যায় যখন ঘুমিয়ে
পড়েছে। সে
রাত্রে তাদন্তিক
এলেন। দেখছেন এক
পাল পা আবাসন থেকে
বেরিয়ে বালিয়াড়ি
ধ’রে সৈকত মেপে
মেপে সমুদ্রে গিয়ে
মিলিয়েছে। অথচ
উল্টো পায়ের মেয়েরা
তখন ঘুমের অন্ত্রে
নিশ্চিন্ত। নিশ্চিহ্ন। তখনো
হুলিয়া আলভারেসকে
আমি চিনতাম না। আলাপ হলো পরে ///
তরুণ কবিদের
সাথে বাক্যায়োজনের
অনেকটাই অনুপ্রেরণা
নিয়ে। কার
গেঞ্জিতে কার মুখ
রাত্রে ছাপানো। কার
পিঠে কার লুকনো
উল্কি। কার
পাতায় কার পেঁয়াজ
রসের জলছাপ। আসলে
যেসব মৃত কবিরা
আমাদের চেনা-অচেনা ছিলো। তাঁরাই
আমাদের রঙ, রেখা, পংক্তি,
ক্রিয়া ও বিক্রিয়া
অনবরত ওলটপালট
ক’রে টুকে চলেছেন। আর
তাঁদের আগের মৃত
প্রজন্ম! এসব
দেখে ছটফট করে
তেনাদের নিজ খাঁচায়। দোলে
খাঁচা টানা ঝড়ে। তেনাদের
ড্রপিং পড়ে – বিষ্ঠা। বাড়ির
জায়গায় জায়গায়
অগ্নিকাণ্ড। কেউই
আর বেঁচে ফিরলো
না। শুধু
একটি প্রাণী ///
টার্ডিগ্রেড। যাদের
কথা জ্যোতি দত্ত
আমায় প্রথম বলেছিলেন। পরে
আরো জানলাম। চূড়ান্ত
তাপেও তাদের অক্ষুণ্ণ
থাকার কথা। অবধারিত
বিধ্বংসী তেজস্ক্রিয়তায়
জ্বলে যাওয়া জগতে
একমাত্র তারাই
চিরায়ু হয়তো। সূর্যস্নান
সঠিকভাবে ঘটে সূর্য
ভেদ করে চলে যেতে
পারলে। টার্ডিগ্রেডের
জন্য প্রণত অপেক্ষা
করি। স্মরণসভায় ///
আমাদের
দেখা হতো স্মরণসভাতেই।
পাইনপাতার, হলুদ
ঝুমুরের, শেষে একদিন
নিজেদের সরণীতে।
হরিভরি ক্ষণতার
অরণি। ফ্রেম-বাঁধানোর দোকানে
দুই বুড়ো কর্মির
সাথে ঘন যোগাযোগ
হলো রোজকার। দখল, খবর
তাদের সংরক্ত মনাবেশের।
মনাকাশও। যাতে
খামারপোড়া গরুর
ভয়। নিরাপত্তাহীনতার
কোনো জন্মমৃত্যু
নেই। টানা নিঃশেষ
বালিয়াড়ি স’রে স’রে যায়
আর দূরে ফেনাতোলা
ড্র্যাগনেরা শেষ
প্রেম করে। ফুল
ফুলে ওঠা ক্লিটোরিসে
বেদানামুকুলের সৌরভ। ষড়পাপড়ির
অরেঞ্জাক্ষ। স্মরণসভায়
আমার তোমায় পেতে
কী ইচ্ছে করে!
কোমরবন্ধুনি।
জুলাই ৩১,২০২২
আর্যনীল