দীপাঞ্জনা
মন্ডলের কবিতা
দীপাঞ্জনা
মন্ডল-এর জন্ম
১৯৮৫তে, বাংলাভাষা
ও সাহিত্যে বিদ্যায়তনিক
শিক্ষা। পেশা অধ্যাপনা।
মূলত গদ্যলিখিয়ে।
নানা-পত্রিকায়
লিখেছেন। এই প্রথম
কৌরবে। প্রকাশিত
বই নেই।
কারণ
আজকাল বড়
প্রেতচ্ছায়াময়
থাকি। এমনকি বর্ণমালাও
অতীতবিলাসী। কানাঘুষো
দেওয়াল বারতা দেয়
চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা
যদি চোরের মায়ের
গলাটি থাকে। এবং
একটি সিন্ডিকেট
পিঠ-চাপড়ানো
ডট কম। কমরেড সে
দিন আর দূরে নয়।
এসো ফ্যাসিজমের
গুষ্টি কিলাই।
তুমি আর আমি শুধু
দুজনের খেলাঘর।
রুচি ও সংস্কৃতি
বিষয়ে তুমিই বোঝো
আর আমিই বুঝি।
কিন্তু এটা যোগ্যতা।
অতএব ফ্যাসিজম
নয়। নারী আনাড়ি
নয় যদ্যপি অর্থকরী।
শুধুমাত্র
যুদ্ধব্যবসায়ীদের
আদ্যশ্রাদ্ধ করতে
নিজেরও অসম্পূর্ণতার
ব্যাপ্তি হয়। ঘোলা
জলে মাছ ধরবে বলে
সিন্ডিকেট থেকে
নিয়মিত কাঠি করে
জল নাড়া হয়। পুকুরের
মালিক কণ্ঠিধারী।
মাছ ধরা ব্যাপারটা
যে বর্তমানে ঘটে
সেটা তাকে বোঝানো
যায় না। তিনি হিটলারের
পুনরুত্থান হবে
স্তালিন হিসেবে
তাতেই বগল বাজিয়ে
সংকীর্তন করবেন
বলে তিলক কাটেন।
আহা, মধুর।
মন
রে কৃষিকাজ উঁহুহু
ডানা ধার চাইলেই
দিয়ে দিতুম। শিকড়
গেড়ে বসাটাই স্বাচ্ছ্যন্দ।
ফলে ছায়াবিস্তারি
ডানার নিচে আশ্রয়
নেবার পর অনেকেই,
ডানা পেলেই উড়তুম,
গোছে উদাস হয়ে
থাকত। দিয়ে দেওয়া
যেত। লেখাপত্তরের
বালাই ছিল না।
না ঝাপটে কেবল
পক্ষ বিস্তার করে
নিরাপত্তা আর ঠাঁই-ঠিকানা
জোটানো ক্রমাগত
ক্লান্তিকর।
এদিকে সহজে
ডানা পেলেও তাকে
উপযুক্ত আকাশ দিতে
কেউই পেরে উঠত
না। ফলে ডানায়
মরচে। ফেরতও দিত
না। অধিকারবোধ।
কোনও এক অমাবস্যায়
ডানার বুকচেরা
গোঙানি শুনলে আমি
কোনও এক পরিত্যক্ত
মরূদ্যান থেকে
তাদের সংগ্রহ করতাম।
ধুয়ে মুছে দিতাম
রোদে। অমনি গুটিসুটি
খুবই নাদান কোনও
বেচারা তার তলায়
সেঁধোত।
পড়া মুখস্ত
করতে হলে বারবার
শুরুতে ফিরে যেতে
হয়।
Copyright ©
2020 Dipanjana Mondal Published 1st Sep, 2020.