রাদ আহমদের
কবিতা
রাদ আহমদ
কৌরবে
লিখছেন এক দশকের
ওপর। ২১:০ এর কবি
রাদ-এর লেখালিখি
শুরু বাংলাদেশে,
পরবর্তীতে কিছুটা
অস্ট্রেলিয়াতেও।
সেখান থেকে ফিরে
যাবার পর রাদের
কবিতাপ্রবাহ অব্যাহত।
একাধিক কাব্যগ্রন্থের
রচয়িতা। কৌরব প্রকাশনী
থেকে প্রকাশিত
ওঁর প্রথম কবিতার
বই ‘ব্রথেল মালিকের
কারপার্ক’। নিকট
অতীতে ‘পরিবিষয়ী
কবিতা’ কর্মকান্ডে
অংশ নেন। রাদের
কবিতা ইংরেজিতে
অনুবাদ হয়েছে।
প্রকাশিত হয়েছে
প্রখ্যাত Jacket2 পত্রিকায়।
ভালো
তুমি নাটকের
ভালো
তুমি নাটকের মধ্যেখানে
শিয়ালের চাষ করা
কমলা রঙের ভঙ্গিগুলা।
রোদ যদি
আসে জানালাতে ছোটো
ছোটো চারকোণা বিস্কিটের
গায়ে ঝুরঝুরে গুড়া
এত ভঙ্গুর
যে তাকে ধরে রাখাটা
মুশকিল
তুমি
যেন কিলবিলে জিয়ল
মৎস্য চাষের সফল
প্রক্রিয়া যখন
দেশে প্রথম এসেছিল
এত কেন
এত কেন ভণিতার
স্বাভাবিক সুর
কেন লালচে রোদের
গায়ে জেগে থাকে
ক্রমান্বয়ে
তোমাকে এ ভঙ্গুরতা
শেখাবে যে গোকুলে
বাড়িছে সে তার
ওই তাস ধরা
মসৃণ
আঙুলগুলা দেখ
আরও একটু
সর্বনামে ডাকো
তাকে তাকে তুমি
যৌনতার গভীর তত্ত্বগুলা
সাজাও
সাদা
মানিপ্ল্যান্টে
জানালার গ্রিল
ধরে যারা ক্রমাগত
উপরে
উপরে আরো নীলের
গহীনে ঘন উড়ে যায়
তারা দূরে দূরে
–
ক্রমাগত
একে অপরের থেকে
সম্প্রসারণশীল
বলে কথা
বেলগাছ
কাঁটাযুক্ত -তুমি
গহীন দুপুরে সুপ্ত
এ কথাগুলা জেনেও
দাঁড়িয়ে আছ ?
সাদাটে
হাতির ঝিলে
"You can fire
your secretary, divorce your spouse, abandon your children. But they remain
your co-authors forever." - Ellen Goodman
১)
সাদাটে
হাতির ঝিলে শুঁয়োপোকাটার
মত কিলবিলে নব্য
তরুণী তুমি কি
আমার কো-রাইটার হবে?
সকলেই এরকম
হয়ে যায় আমি না
চাইলেও ক্যান্টিনের
বয় যাকে টাকা ধার
দিতে দিতে অপমান
করে বসে এমনকি
সেও তো কো-রাইটার
হয়ে গেল আবার যাহার
চেহারাটা সাদা
কাগজের মত তাকে
মনে হল রক্তাল্পতায়
সাদাটে ছোপ ছোপ
তার
জড়ানো
কামিজে সেল সেন্টার
- বল তো এই
‘সেল’ সেন্টারের
কথা কিভাবে বুঝাই?
মুরগীর দামাদামি
করবার ওজন মাপক
যন্ত্রটার কাটা
ঠিকঠাক করে কাঁচাবাজারের
পিছে ছোট দরজার
ফাঁক
সেইখান
দিয়ে সন্ধ্যার
একটু পর পর একখানা
কানা গলিতে বেরোলে
পর ঐ দূরে অন্যান্য
বাড়িঘর তার মাথার
উপ্রে দিয়ে সঙ্গমরত
আইনি বা বেআইনি
ঘাম চিটচিটে জানালার
উপ্রে দিয়া একখানা
ঝকঝকে নতুন আধা
কমার্শিয়াল বিল্ডিঙের
নাম সেল সেন্টার
তার নিয়ন বাতির
সাইন-খানা
আমাকে তো ঝিমঝিম
করে রস টেনে নিয়ে
গেছে শুঁয়োপোকা
তুমি কী নামই বা
দিবে একে আমি
বরঞ্চ
মুরগী তার দাম
নিয়ে ভাবি ক্রমবর্ধমান
ক্রয়ক্ষমতার কথা
গুটি গুটি ভাবি
ভাবি সেই ছবিটার
কথা বিদেশী নদীর
ধারে নানা ভঙ্গিমায়
শহুরে নারী পুরুষ
- কেউ বা
আপেল রঙের কেউ
বা কমলার মত টসটসে
মনে হল বিকালে
হাতির ঝিলে ঢাকা
শহরেরও বুঝি একদম
একই দশা
আধা ফুটন্ত
ক্রয়ক্ষমতা মানুষের
চেহারায় টসটসে
ভাব এনে দিলে অসহায়
শিকারিরা কাম্য
বস্তু পেয়ে গেলে
মটর সাইকেলে কোনো
যুবক যদিবা কাঙ্ক্ষিত
নারীর গাবদা গোবদা
স্পর্শ পেয়ে গেল
তো সে অসহায় বটে
ধরা পড়ে গেছ গা
তুমি হে মাকড়শার
জালে এইবার আচ্ছা
হ্যাঁ এইবার শুঁয়োপোকা
তরুণী তোমার
মুখ দেখে
মনে হয় সেখানে
তোমার পিতার মুখের
কিছু ছাপ রয়ে গেছে
ঠোঁটখানা বা ভ্রুযুগলের
ধারটাও কিছুটা
বটে তাই হতোদ্যম
আমি অস্ত-রত সূর্যটাকে
দেখি ধুসর মেঘের
কালার এক্কেবারে
বারুদের মত কিন্তু
তা কখনো প্রজ্বলিত
হবেনা তা ভেজা
ভেজা আধা গুমরানো
আপেলের গায়ে শুঁয়োপোকা
তোমাকে দেখেই অস্ত-রত তত্ত্বখানা
বইয়ে লিখে ফেলি
আধা-উঠন্ত এ সময়ের
একটা নির্জলা গাবদা
গোবদা চেহারা আছে
যা ক্ষণিকের তীব্রতম
হৃদয়ের মত মুরগী
কিনে বাড়ি ফিরে
আসবার কালে হঠাৎ
শীতের বিদায়ী বাতাসের
ঝাপটা সহ সেল সেন্টারের
নিয়ন বাতির মত
তীব্রতম
নয় তীব্রতম নয়
২)
হাসি
নাই কেন ওহে আনন্দ
বা নাই কিন্তু
অন্যদিকে
পায়েস
দিয়ে মুড়ি তার
আনন্দটা কিভাবে
লুকাই?
এই কথা
ভেবে ভেবে
হয়ে যাই
ফ্রিজ আমি সটান
দাঁড়িয়ে
তোমার
ভিত্রের কথাগুলা
কওনা আহা কতদিন
পরে অই কাচ
আনত রোদের
থালা বসায়েছে সামনের
চেয়ারে চেয়ারে
যারা
ক্ষমতার
দানাগুলা বলিষ্ঠ
হাতের টানে টেনে
নেয় তাহাদের
জ্বলজ্বলে
আংটি থাকুক বা
সোনার সুগন্ধ অলা
নিষ্ঠুরতার জালে
আটকা পড়া মানুষেরা
থাকুক
তাদের
তো আপাতত আর কিচ্ছুটি
করার নাই
অরা দানে
দানে দাও মারুক
না ক্রেতা বা বিক্রেতা
হোক মুরগীর মত
ইচ্ছাকৃত গলা পেতে
দিক বঙ্কিমতার
মাপনযন্ত্রে - চল আমরা রোদের
থালা দেখতে দেখতে
নির্লিপ্ত কাগজ
যেন
উড়াই
উড়াই
৩)
জমে থাকা
কথাগুলা ফুরাচ্ছে
না কালো ‘শু’ অর্থাৎ বিদেশি
জুতা বা হয়েছে
তারা
যার যার
নিজের ভঙ্গিমায়
তারা এইদিক একজন
ঐদিক তাকায়ে
আমার
হয়েছে জ্বর ঠিক
যেন ছোটকালেকার
‘দ’ এর
হয়েছে জ্বর তাকে
বসতে দিছি পিড়িতে
আমি সটান দাঁড়ানো
ফ্রিজ
তার সামনে
শুঁয়োপোকা তুমি
কি আমার কো-রাইটার হলে?
৪)
বহু বহু
রাইটার যার যার
ধর্মগ্রস্ত নামের
আড়ালে অল্প ভারী
বই লিখে গেল অথচ
তাদের প্রত্যেকের
চেহারাতে নিজ নিজ
পিতাদের চেহারার
ছাপ এবং মাতারও
ভ্রু খানা এমন
যে ঠোঁটের ধারটা
আচ্ছা শুঁয়োপোকা
তুমি
প্রজাপতি
না হয়ে বরঞ্চ ঘুণপোকা
হলে পরে কিছুটা
বা রিমঝিমে পানি
এসে জমতে পারত
এ জানালায়, খুব খুব সময়ের
ঘাড়ে
আলাদিন
আলাদিন ম্যাজিক
কার্পেটে চ’ড়ে
পানি নির্মিত ইউরোপের
সে স্থাপনায় তোমাকে
নেওয়া যেতে পারত
তার আগে ঘড়ি ধরে
কিছুদিন কাজ কর
মোটামুটি দুই মাসে
তুমি সেই পরিমাণ
অর্থ জমাইতে পারবা
যা দিয়া ইউরোপের
সে
পানি
নির্মিত স্থাপনা
চল না এবার হাসি
অল্পখানি
কোনো
কিছুতেই সেই জ্বর
সারে না সারে না
আর
দুই মুখা
দুই পাটি জুতার
অসুখ
সারতেছেনা
কোনোভাবে
Copyright ©
2020 Raad Ahamad Published 1st Apr, 2020.