কবিতা
তানিয়া
চক্রবর্তী
===
|
|
প্রাপ্ত
কবিতা লুকনো গন্ধ এখন
রক্তের চলাচল ছড়িয়ে
পড়ছে সময় অসময়ে বেসামাল
হচ্ছে তিন টুকরো সুর দুপুরের
ভুলে যাওয়া ভাত ভাতের ধোঁয়ায় আশ্বাস
...... ‘ওরা’ ওদের
পোড়া
নাভিতে, ছিন্ন শিরায় ধান, দূর্বা, হলুদ
স্বস্তিকা ছাদ
নয় আকাশ
থেকে নামেনি কোন
পার্পল রঙের পর্দা বরং
শীত পিয়ানো উড়িয়ে
দিয়েছে ভাঙাচোরা
ধুলো
আর বরফ কুচি ভাঙতে
ভাঙতে অচেনা
মনে হয় রুটি নিঃশ্বাসে
মৃত্যুর নড়াচড়া সাহসী
... তীব্র ...মাথার
অ্যাক্সিস প্রতিদিনের
টস...... চাঁদের
উল্টো পিঠে যেখানে
দাগ নেই সেখানে
স্মৃতির সোনাটায়
জন্ম হয় (জয়শীলা
গুহ বাগচী) * নীল অংশের
লেখাগুলি কে গ্রহণ
করা হয়েছে নতুন
কবিতায় |
তানিয়ার
কবিতা খিদে তানিয়া চক্রবর্তী
লুকনো গন্ধের
বুভুক্ষু জিভ কাটা কাটা ঘরে
শরীরী বরফকুচি
ওরা তিন টুকরো
সুরের ক্রিসক্রস
খাদক ছিন্ন শিরায়, পোড়া
নাভিতে ধুলো আর
ভাতের ধোঁয়া --- শ্মশান পাশের হামাগুড়ি
ও নকশা করা কাপড়ে
ছেঁড়া এক ফালি
পেট জাপটে ধরে মাত্রা, বিন্দু, শ্যাওলা অ্যাক্সিস
থেকে লুপ্ত শক্তি
আঙুলের পাঁজরে প্রতিদিনের
টস --- টসটসে চামড়ায়
সোনাটা মচকানো ইমারতের
গায়ে টিকটিক টিকটিক
সাইফন সমাজের
দাগী তালু --- মধ্যচ্ছদায়
মেধা খসে
---তিন টুকরো ক্রিমিনাল
খাদ্যভ্রম... |
কবিতা
ভাবনাঃ
“কবিতাকুণ্ডলী
প্রকল্পে” সামিল
হওয়ার মুহুর্তে
প্রাপ্ত কবিতা
প্রথমে একটি নিরপেক্ষ
পাঠকের কবিতা হিসাবেই
প্রতিভাত হয়, এ থেকে
প্রক্রিয়াকরণের
মাধ্যমে একটি লেখা
লিখতে হবে এর বাহুল্যও
সচেতনে প্রভাব
ফেলে না। তখন সে
কেবলই নিজের একক
স্বতন্ত্র কাঠামোতে
ধরা দেয়। ব্যাক্তিগত
ভাবে মানি, প্রাথমিক
পর্যায়ে সচেতনতার
স্তরকে অতিক্রম
করে, আক্রান্ত
করে যে সব শব্দ
বা বাক্য, সেগুলো
অপেক্ষাকৃত বেশী
দৃঢ় আবার ভাবনার
পর এসে জার্ক দেওয়া
শব্দ ও বাক্য, ভাব তাদের
আলাদামাত্রা আছে।
প্রাথমিক
পর্যায়ে কবিতাটি
শব্দভিত্তিক ভাব
মাত্রাকে আক্রমণ
করে, প্রথম
আক্রমণ -“লুকোনো গন্ধ,তিন টুকরো
সুর, ভাতের
ধোঁয়ায়,
ওরা,পোড়া
নাভিতে,
ছিন্ন শিরা,ধুলো আর
বরফকুচি,অ্যাক্সিস, প্রতিদিনের
টস, সোনাটা”।
দ্বিতীয় আক্রমণ
(চিন্তনের পর) –পাথরকুচি, শীত পিয়ানো,পার্পল
রঙের পর্দা, ধান,দুর্বা, হলুদ স্বস্তিকা, মৃত্যুর
নড়াচড়া--- এইসমস্ত
উপাদানগত প্রাচুর্যে
একটি কাউন্টার
মুড তার আশেপাশে
মৃত্যু অধ্যাস
বানিয়েছে যেখানে
জন্মের প্রাবল্য
ঘনীভূত সেখানে
স্মৃতি,
নশ্বরতা, খাদ্যসচেতনতা
মূর্ত আর বিমূর্তের
মধ্যবর্তী স্পেস
ভাঙছে। দেখলাম
ওই স্পেসে নিজস্ব
কবিতাটি বাড়তে
শুরু করে দিয়েছে, এবার যখন
এর ওপর কুণ্ডলী
প্রকল্পের প্রক্রিয়াকরণ
লাগু করছি, তখনই
প্রদত্ত কবিতা
একটি কাব্যস্বমেহন
হয়, তাকে
সরাই বিশেষ কিছু
প্রারম্ভিক শব্দপ্রাবল্য,
যা প্রাথমিক আক্রমণ
ব’লে মনে করেছি,
তা আভ্যন্তরীন
স্তরে বেড়ে ওঠা
হালকা আবছা কবিতার
সঙ্গে জুড়ে মূর্ত
হতে থাকে লুকোনো
গন্ধ,তিন
টুকরো সুর, ভাতের
ধোঁয়ায়,ওরা,পোড়া নাভিতে, ছিন্ন
শিরা,ধুলো
আর বরফকুচি,অ্যাক্সিস,প্রতিদিনের
টস, সোনাটা---
এই প্রাবল্যকে
শেষ অবধি মেনে
নিই।
বাকিরা
হালকা হতে থাকে, প্রাবল্যমূলক
শব্দ নিজে এসে
স্বয়ংই কবিতা প্রার্থনা
করে, এরা
যারা প্রথম পাঠক
হিসেবে জার্ক খাইয়েছিল
তারাই ভেতরে কাঠামো
বানাচ্ছিল রূপকধর্ম
থেকে ব্যাক্তির
(ব্যাক্তির/আমার)
ভাবের সঙ্গে কাউন্টার
সাযুজ্য তৈরী করে
এই শব্দগুলি প্রদত্ত
কবিতার প্রাণপ্রাচুর্যের
প্রতিসরণের প্রথম
মাধ্যম,
এরপর দ্বিতীয়
মাধ্যম (ব্যাক্তি/আমি)-তে
এসে মুখ্য প্রান্তিকতা
ভেদী ভেদ-যুক্ত
কবিতা “খিদে”তৈরী করে
যেখানে পরিণাম
“তিনটুকরো
ক্রিমিনাল খাদ্যভ্রম”;
যেখানে পাঠক হিসাবে
পড়া ও ভাবা / পাওয়া
কবিতার মাত্রা এবং সৃষ্ট
কবিতার ভাব ও মাত্রায়
কিছু সাদৃশ্য স্বতঃস্ফূর্ত
তৈরী হলেও প্রকৃত
কোনো গাঠনিক মিল
নেই কারণ
ভাবের দিক বদল
হচ্ছে ---কিন্তু
এর আরো অজস্র মাত্রা
আছে যা ব্যক্তি
অনুযায়ী ভাবে এবং
অবশ্যই পুনরায়
লিখনে ও শিখনে
বদলে যাবে...
===
Copyright
© 2016Kaurab ONLINE
Published 31st Dec, 2016.