HOMEPAGE

 

কৌরব অনলাইন ধারাবাহিক সংযোজন-১৩

এপ্রিল ২৪, ২০১৬

 

সূচি

   

কবিতা

নীলাব্জ চক্রবর্তী

 

=== 

 

নীলাব্জ চক্রবর্তীর কবিতার সুরেলা রেশ রয়ে গেছে যে সমস্ত কাগজে তার অসম্পূর্ণ তালিকা প্রথমে - কৌরব, নতুন কবিতা, , ভিন্নমুখ, জার্নি৯০স, বৈখরী ভাষ্য, বাক্, অ্যাশট্রে, বুকপকেট ওয়েবজিন, কালিমাটি, ঐহিক, শূন্যকাল, অবসরডাঙা প্রভৃতি। এই সমস্ত কবিতা গ্রন্থের রূপ ধরে এসেছে তিন ক্ষেপে, তিনবার -  পীত কোলাজে নীলাব্জ (২০১১, ৯য়া দশক), গুলমোহর... রিপিট হচ্ছে (-বুক, ২০১৩, বাক), প্রচ্ছদশিল্পীর ভূমিকায় (২০১৪, কৌরব)ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত উপন্যাস - ‘কোনও চরিত্রই কাল্পনিক নয়’ (বাক্) নীলাব্জকে সিডিউস করে গানের পুরনো আর কবিতার নতুন; আর লিঙ্গারিং স্বপ্ন বলতে - মনের মতো একটা শর্ট ফিল্ম তৈরী করা। কার মনের মতো? বলুন না, আপনি।  

 

ডিসেম্বর

                                                                           

 

এখন জল না ডিসেম্বর

কে আগে গুঁড়ো হবে

এমসিসি প্যানেলের ভেতর চলে যাবে

রোদ

না

রোদের ফোটোকপি

স্লো মোশান

কোথাও দরজা

একটা একটা করে

হেমন্তরঙা তাস ফেলে যাচ্ছি...

 

* # * #

 

ভোরের অনেক নীচে

কিছু সেতু হয়

সাদা সাদা গানকল

শক্ত হয়ে চোয়ালে ওঠে

 

লক্ষ করি

আপেলের দাগ জুড়ে

কীভাবে হেঁটে যায়

ঝুলিয়ে রাখা ফানুসের স্মৃতি...

 

* # * #

 

একটাই দশক লম্বা হতে হতে

গড়িয়ে আসছে

অন্যমনস্ক স্যাণ্ডউইচের ভেতরে খুব আমি

দেখি তোমার নড়াচড়ায়

বড়ো হয় ফোটোগ্রাফের লাল

একটা আনারসের গন্ধ

সেক্স সেক্স করছে সারাদিন ধরে...

 

* # * #

 

ওখানে

ভেঙে             যাচ্ছে

সুখী মানুষদের প্রোটোকল

আর পর্নোফুলীতে বানানো বানান ফুলিয়ে

ওহ ডিসেম্বর ওহ আজানের মাস উঠছে

কাগজ থেকে কাগজ

বরফের সিঁড়ি উড়ছে কোথাও...

 

* # * #

 

ক্রাইসিস শব্দটাই তখন পূর্বনির্ধারিত

আর

চোখের ভেতর যারা মাছ

এই যারা জলবায়ু ডেকে আনছে

কাগজকলম

যতোটা ঝুঁকে ভাষায় আসছে

বাড়ি-ঘর-কুলিং টাওয়ার

 

যতোটা জীবন্ত হয়ে উঠলো ওই ফ্রিজ শট...

 

* # * #

 

ভেজা ভেজা জানলায়

কতোটা আপনার লেখা মাস

ওভারল্যাপ করছে

 

মেশিন ভালোবাসি না তবুও

তারিখ

পড়ছে

ছোট পেরেকের গায়ে

ওভাবে আমার ক্রাইসিস

প্যান করে...

 

* # * #

 

যখন সবার জন্য একটাই স্কার্ফ

একটাই স্যালারি স্লিপের শীতশীত

ফুরিয়ে

কে যাচ্ছে স্থির হয়ে

অথচ তার ছায়াকে অগাস্ট ভাবছো

 

বরং ধরো এই আমাদের চা বাগান

গর্তের ভেতর থেকে

এই ধরো জুটমিলের পুরনো কবিতা যেমন...

 

* # * #

 

ক্রাইসিসের একটা শ্রেণী থাকে

একটা টানেল

কোনায় কোনায় ধরে রাখে

শিয়ার স্ট্রেসের দাগ যেভাবে

পুরনো আস্তিন জুড়ে

আঁকাবাঁকা হরফ ভালোবাসি

আমরা যারা কুঁকড়ে যাচ্ছি

আমরা যারা বারবার

লাইনে দাঁড়াতে চেয়েছি

আর চেয়েছি

ডিসেম্বর চিহ্নে ভোট দিতে

নাম খুঁজতে খুঁজতে দেখেছি

এই দেওয়াল অবধি শীৎকার লেগে আছে

তারপর অন্য ঋতু

ছিটকে চলে যাচ্ছে

গতিবিদ্যার বই যেখানে...

 

* # * #

 

তারপর পাশের দিনটা বড়ো হোলো

আর বালিশ থেকে

লাফিয়ে নামলো বাদামী বেলুন

কে ডাকছে

আরও লম্বা হয়ে যাচ্ছে পেনসিল

অথচ অভিব্যাক্তির সবটা ওখানে ফেলে রেখেছি

নুনছাপের কথায় বালিছাপের কথায়

সিলি সিলিকাময় মাথার মধ্যেই কবিতা

আয়নায় এসে

ক্লোজ-আপ

সিনেমার মতো বিয়ে

ভেঙে ভেঙে যায়...

 

* # * #

 

শুধু আত্মহত্যার জন্য

এই ছাদ লেখা হয়েছে কোনোদিন

সে ভাষা

মানে একটা উঁচুনীচু পথ

যেখানে

আমরা ডিম আনি ডিম খাই

আর ডিমবদলের কথা ভাবি রোজ

 

* # * #

 

কারখানার গেটে

রামধনু এঁকে রেখে গ্যাছে কারা

জামার বুকের কাছে গোল গোল

আপাতত মুলতুবী থাক

ডার্টি মাইণ্ড

ঠাণ্ডা টেবিলের ওপর চড়ে বসা

তোমার কাচা জামাকাপড়ের আশপাশ দিয়ে

ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে

এখন থেকে আমি এই বছর হয়ে উঠলাম

প্রথম দরজা খুলে দ্বিতীয় দরজায়

তৃতীয় দরজার আগে

ফেলে যাওয়া প্রথম দরজার সিন না সিনট্যাক্স

দেখছে

এই সাদাকালো বাড়ির পাঁচিলে

কাঁচের রঙিন সব টুকরো

অন্য বাড়ির বোতল থেকে এলো...

 

* # * #

 

কার দিকে খুলে যাচ্ছে

ঠাণ্ডা শব্দের এই দেওয়াল

কীভাবে একটা পুরনো বাক্স

তোমার খিদে ভরে রাখছে আমার খিদে

ওহ লিপ গ্লস

স্তন হও ডিসেম্বর হও এবার একটু

দ্যাখো

চামড়ায় জলপাই রঙের দাঁত

ছিঁড়ে যাচ্ছে আর

আয়নায় ভেসে উঠছে মৃত উপমা...

 

===

 

 

ভাবনাসূত্রের পর্ব আর পর্বের ভাবনাসূত্র

 

          অন্তত এখন এই কথাটা লেখার সময় এসেছে যে আমার কবিতাভাবনা বলে আর আলাদা করে কিছু নেইহয়না আমার কাছেপরীক্ষাভাবনাই কবিতাযেভাবে বলা যায় যে শুধু আমার ক্রাইসিসটুকুই আমিএর মানে কী? সময় মানেই বা কী? এই এক গর্তের ভেতর পড়ে থাকা আর চলাচলআর মেকী সব প্রোটোকল ফুঁড়ে একের পর এক ছোটবড়ো নানান হরফে ফুটে উঠতে থাকা...যৌনতাখিদেচা বাগানওয়াগন টিপলারচটকলস্যালারি স্লিপরিভার্স মন্তাজগৃহঋণবড় কাগজমিছিলশট রেডি হচ্ছেবন্ধুত্বহীনতাবাজারআজ সব পুরনো হোকদ্বিচারিতারোজ সেলেব মাখো দুহাতে পায়েবইবিক্রিরাষ্ট্রদেবদারুর ছেঁড়া পাতাপুরষ্কারমঞ্চস্লোগানযারে দেখতে নারি তার কবিতা মন্দ ক্যানো হবে এবং ভাইস ভার্সাকার মিথ্যেবাদিতাহলদেটে ঘাসঅন্য লোকের জীবনবুজিয়ে ফ্যালা পুকুরমৈথুনের টেবিল বেয়ে নেমে আসা লম্বা লম্বা ভাবনাসুতো আর তাদের জটদর্শনরঙের ব্যবহারপাথুরে শহরের ভেতর পা গলাতে পারছি নাব্লার্ব - মুচড়ে যাওয়া ভাষাভ্রমণ তো মাথার ভেতরেবাতিল পার্চমেন্টকবিতা যথেষ্ট মনের মতো হোলো কি না সেটাই ভাবনার শুধুস্বপ্নদৃশ্যপুরনো দশক জুড়ে বেড়ে ওঠা একটা নীল ফ্রেমকার্পেট ভালোবাসছিস্লো মোশানফোন করলে পাওয়া যায় না কেন তোমায়দ্বিস্তরীয় সমাকলনবরফের সিঁড়ি দিয়ে কেউ উঠে আসছেভুল বানানের প্রচ্ছদপারদ উঠে যাওয়া আয়নারান্নাঘরকাঁচা কাঁচা অনুবাদদৃশ্য বদলে যাবে এবারযে সুরটা মনে পড়ছে না মিনিস্কার্টের মেয়েবৃত্ত এক বেস্টসেলারতোমাকে চুমু খাইনি তোশীতকালসমাজ নিয়ে ন্যাকামো আর করোনাবিজ্ঞাপন বিরতিক্রয়ক্ষমতাযেভাবে আমরা দগদগে আর গদগদে গুলিয়ে ফেলেছিস্বাধীন চলরাশি তাঁর একজন নির্ভেজাল অপেক্ষকহাততালি হাততালিনো কমেন্টসসঙ্কটঅথবা সেইসব বিশেষ মুহূর্তে কোমরের দুপাশের বাড়তি মাংস খামচে ধরাজ্যামিতি ইশতেহারভাষার সিনট্যাক্সে যেভাবে অল্প অল্প রোদ পড়ছে...

 

ওহো কবিতাভাবনা আমার...

 

 

===

Copyright © 2016     Nilabja Chakrabarti     Published 24th April, 2016.